একজন নূর মোহাম্মদ অবসরে যেয়েই সময় কাটাচ্ছেন গ্রামের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমরা যারা সংবাদকর্মী, আমাদের নিয়ে অনেকের অভিযোগ-আমরা নাকি ভাল কাজের প্রশংসা গনমাধ্যমে খুব কম তুলে ধরি। পাঠকদের অভিযোগ পজেটিভ নিউজকে নাকি কোন নিউজই মনে করিনা। বেশি বেশি নেগেটিভ নিউজ গনমাধ্যমে তুলে আনি। কথাটা শতভাগ সত্য না হলেও পুরোপুরি মিথ্যাও বলা যায় না।একটি সমাজ তথা রাষ্ট্রের চলমান অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরলেই তা নেগেটিভ নিউজই হয় তা নয় । এটি সমাধান চেয়ে কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনার চেষ্টা। যা সমাজ  ও দেশেরই মঙ্গল বয়ে আনে। এতে করে সকল পর্যায়ের মানুষ সচেতন ও সতর্ক হয়।

আজ এমন একজন মানুষের কথা তুলে ধরতে চাই, যিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশে বিদেশে প্রায় ৩২ বছর সরকারী চাকরি এবং গত ২ বছর সরাসরি জনসেবায় যুক্ত হয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তিনি সাবেক পুলিশ প্রধান, রাষ্ট্রদূত, সচিব নূর মোহাম্মদ। বর্ণাট্য কর্মজীবন শেষে ২০১৫ সালের শেষদিকে অবসরে যান সাবেক এই কর্মকর্তা। সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করলেও জনসেবায় তার সক্রিয়তা বেড়েছে আরো বেশি।কটিয়াদির মানিকখালীতে যুব ও ক্রীড়া মন্থনালয়ের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন মানিকখালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার। সেখান থেকে প্রতিমাসে প্রায় শতাধিক যুবক-যুবতি বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছেন এবং সেন্টার থেকে প্রতিদিন স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষজন।

19598932_459113574465767_2120996117513008088_n

আজকাল প্রকৃত জনস্বার্থে খুব কম লোকই আসে রাজনীতিতে। কখনও কখনও কেউ কেউ আসে স্বার্থের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে। আমরা অনেককে দেখেছি এবং দেখছি যারা বাহবা কুড়ানোর জন্য নতুবা স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কিছু লোক–দেখানো কাজ করে থাকেন। ডানে–বামে চোখ রাখলেই এই ধরনের লোকের অভাব নেই। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা সরকারি–বেসরকারি স্বীকৃতির কথা মাথায়ও রাখেন না। তারা সমাজ তথা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কিছু পাওয়ার আশায় নয়, দেশপ্রেম আর সাধারণ মানুষের জন্য ভাল কিছু করার চিন্তা থেকে। তবে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা দিন দিন ক্রমেই কমছে।

কিন্তু সাবেক ছাত্রনেতা নূর মোহাম্মদের (নির্বাচিত ভিপি, মুহসিন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)রাজনীতিতে আগমনে কটিয়াদি-পাকুন্দিয়ার রাজনীতির আকাশে যেন উদিত হল নতুন সূর্য। তার রাজনীতিতে আসা কোন কিছু পাওয়া বা নেয়ার জন্য নয়। এই জীবনে তার অপ্রাপ্তির কিছু নেই। তিনি চাইলে সরকারের আরও লোভনীয় পদে যেতে পারতেন। মিডিয়া কর্মীদের মুখে চাউর আছে যে তিনি যখন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সচিব ছিলেন তখনকার শেষ দিকে সরকার তাকে আরও লোভনীয় পদে অফার করেছিলেন। তিনি সে অফার গ্রহণ না করে যুব ও ক্রীড়া সচিব থাকা অবস্থায় অবসরে যান। সাধারণ মানুষের আরও কাছা-কাছি যাওয়ার জন্যই নামেন রাজনীতির মাঠে।রাজনীতির মাঠেও অভাবনীয় জনপ্রিয় সাবেক এই পুলিশ প্রধান। কটিয়াদি-পাকুন্দিয়ায় তার পদচারনায় ইতিমধ্যে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ মানুষজন। তার গনসংযোগে হাজার হাজার মানুষ যোগ দিচ্ছে কোন রকম প্রচারণা ছাড়াই। এসব মানুষের নিঃস্বার্থ ভালবাসাই বলে দেয় কতটা জনপ্রিয় সুদর্শন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত।

19553966_457766951267096_3711841110121180688_n

কর্মজীবনের ব্যস্ততার কারণে সাধারণ জনতার সাথে খুব বেশি মেশা এবং মন খোলা আড্ডা দিতে না পারলেও চাকরি থেকে অবসরে যেয়েই সময় কাটাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ঈদে তার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় আড্ডা প্রিয় নূর মোহাম্মদ আড্ডা দিচ্ছেন সকল শ্রেণী–পেশার মানুষের সাথে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। কখনও তার চোখ-মুখে ক্লান্তি বা বিরক্তির ছাপ দেখা যায়নি। হাস্যজ্জল মুখে মনোযোগ দিয়ে শুনছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কথা।তার আড্ডায় ছোট-বড়,ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত এমন কি দলীয় পরিচয় কোন গুরুত্ব বহন করে না। অবাধে সবার বিচরণ। তার মতে মানুষের মতের ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সবার পছন্দের বিষয় এক হবে এমনকি একজনকেই ভাল লাগবে ব্যাপারটা এমন নয়। ভাল লাগার বিষয়টা কারও উপর ছাপিয়ে দেয়া ঠিক না। ভাল লাগার জায়গাটা যার যার ব্যক্তিগত। কিন্তু আজকাল দেখা যায় কার কোন প্রয়োজনে বা ভাললাগা থেকে কেউ যদি কারও কাছে যায়, তাকে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হয় সে অমুকের লোক, তমুকের লোক। এবং তাকে কোনঠাসায় রাখার চেষ্টা করে, এটা খুবই দুঃখজনক । এই চিন্তাধারা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

20953099_482041022173022_6013357138766497514_n

তাকে তার গ্রামের বাড়ীতে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে আসে কটিয়াদি-পাকুন্দিয়ার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে চাকরী করে পুলিশ কর্মকর্তাসহ চাকরিজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা একটা জিনিস মাথায় রেখে কাজ করবেন মানুষজন যাতে আপনাদের দ্বারা কোন রকম হয়রানি স্বীকার না হয়। সাধারণ মানুষ যেন তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা টুকুন পায়। অনেক সরকারী কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ তার দেয়া উপদেশের কথা লিখেন এবং তা পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

সাবেক এই পুলিশ প্রধান মনে করেন, এই দেশটা আপনার আমার সবার। তাই দেশটা কে ভাল রাখার জন্য, আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। মানুষকে ভালবাসতে হবে, মানুষের সৃষ্টি হয়েছে স্রষ্টা এবং তার সৃষ্টিকে ভালোবাসার জন্য। ভালোবাসতে তো কোনো কষ্ট হয় না। সবচেয়ে প্রশান্তির কাজ হচ্ছে ভালোবাসা।

তিনি আরও বলেন,  একজনকে অপমান করে দেখুন  মানসিকভাবে আপনি কিছুতেই শান্তি পাবেন না। ভালোবেসে দেখুন আপনার চেয়ে সুখী আর কেউ হবে না। কেউ যদি ভুল করে আর আপনি জানেন যে কোনটা সঠিক তবে তার ভুলটি ধরিয়ে দিন। সমাধানটি বলে দিন এর বেশি কিছু নয়।মানুষের সঙ্গে হেসে কথা বলুন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর